আল আমীন, ময়মনসিংহ: [২] প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের দিন কারচুপি  হওয়ার সম্ভাবনা এবার খুবই কম। তবুও সুস্পষ্টভাবে প্রশাসনকে আমরা বলেছি, যদি ওই ধরনের কোন ঘটনা কোন সেন্টারে ঘটে তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ভোট বন্ধ করে দিতে পারবেন। 

[৩] রোববার ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীসহ মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের  সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  

[৪] সিইসি বলেন, প্রার্থীরা নিয়ন-কানুন প্রতিপালন না করলে নির্বাচন কমিশন সুন্দর ভোট দিতে পারবে না। তাহলে নির্বাচন অনিরপেক্ষ বা  ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। নির্বাচন সুন্দর করতে প্রার্থীদের পরিপূর্ণ সহযোগিতা লাগবে। সেই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের আশ^াস দেওয়া হয়েছে, নিরপেক্ষ আচরণে কোনোরকম ব্যত্যয় হবে না। 

[৫] এসময়  তিনি  বলেন, নির্বাচনের স্বচ্ছতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে পারছে কি-না, ভেতরে প্রবেশ করছেন কি-না আবার যথাসময়ে তারা বেরিয়ে আসছেন কি-না এবং বেরিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের তারা কি বলছেন, এটা দেখার বিষয়। যদি প্রায় সবাই বলে থাকে- নির্বাচন আল্লাহর রহমতে ভালো হয়েছে, আমি আমার ভোট দিতে পারেছি- তাহলে ভোটের গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। 

[৬] প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন- আমি সার্টিফিকেট দিয়ে স্বচ্ছতা দিতে পারব না। দিলেও জনগণ বিশ^াস করবে না। কাজেই গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমি আমরা জানতে পারব- আসলে নির্বাচনটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে কি-না। আমি বিশ^াস করি নির্বাচনটা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তবে ভোট এখানে দিলে ওখানে চলে যাবে, এগুলো অবান্তর প্রচারণা। 

[৭] আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে সাংবাদিদের এক প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, প্রার্থীরা আচরণ বিধি মানছে না, এ কথাটা ঠিক নয়। আমরা শুনেছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। এটা নিয়ে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে এটা প্রার্থীদের খুব বিপর্যস্ত করতে পারবে না। 

[৮] মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশন সচিব  জাহাংগীর আলম। 

[৯] এর আগে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের  সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব